সয়া নিয়ে কিছু কথাঃ
আমাদের প্রাত্যহিক খাবারের তালিকায় নানা আয়োজন থাকে । আর সে তালিকায় । সয়ার তৈরি খাবার কতটা স্বাস্থ্যকর , তা কি আমাদের জানা আছে ? সয়ার তেল জনপ্রিয় হলেও এর তৈরি চিজ , দুধ , বাদাম , ময়দা ইত্যাদিতেও আছে নানা উপকারিতা । সয়া বা সয়াবিনের সেসব উপকারিতা নিয়ে আজকের আয়োজন । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এক গবেষণায় জানানো হয়েছে , সয়াতে থাকা প্রোটিন রক্তে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি রোধ করে , যা হৃদযন্ত্রের রোগ নিয়ন্ত্রণে বেশ উপকারী । স্বল্প প্রোটিন সমৃদ্ধ সয়া থেকে উৎপাদিত তেল , দুধ , চিজ ইত্যাদি হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে , তা অনেকাংশে রোধ করে । এছাড়া যারা শরীরের মেদ চর্বি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছেন , তাদের জন্য সয়ার বিকল্প খুব কমই আছে ।
সয়ার উপকারিতাঃ
১ . এটি চর্বিহীন মাছ বা মাংসের বিকল্প এবং মাংসের অনান্ন সকল গুণে ভরপুর ।
২ . সয়াবিন উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেষ্ট্ররাল কমাতে সহায়ক । ফলে হার্টের উপর চাপ কমে আসে ।
৩ . মহিলাদের মনোপোজ পরবর্তী সময়ে তাদের হৃদপিন্ড , হাড়ের ক্ষয় , ব্রেষ্ট কান্সার ও রক্তচাপ ( BP ) প্রভৃতি রক্ষা করে ।
৪ . সয়াবিন ব্লাড সুগার স্থিতিশীল রাখে ফলে ডায়বেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে , কিডনি ও হার্ট রক্ষা করে
৫ . এটা পেট কষার নিরামক , পরিপাকে সহায়ক এবং পাকস্থলির কার্যক্রম শক্তিশালি করে।
৬ . এটি সার্বিক সাস্থের উন্নয়ন করে । এটা খেয়ে স্বাস্থ কমানো এবং বাড়ানো দুটাই করা যাবে ।
৭ . এটা শক্তিবর্ধক এবং সহনশীল ।
৮। এটি হাই প্রোটিন জাতীয় খাবার , ২১ টি প্রোটিনের সমস্যা ।
৯ . এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে শ্বেতসার , ভিটামিন এ , বি , বি – ১ , ভিটামিন – সি , আয়রন , নিয়াসিন , ফসফরাস এবং প্রচুর খাদ্য উপযোগী আঁশ ।
১০ , এটা ব্রেনের কার্যক্ষমতা বাড়ায় । শিশুদের মেধা বিকাশে সাহায্য করে ।
১১ . গর্ববতী মায়েদের জনা বিশেষ উপকারব।
১২ . হাড়ের ক্ষয় রোধ ও মজবুত করে ।
সয়ার উপাদান সমূহঃ
১ . ২১ টি প্রোটিনের সমাহার । (Amino Acid )
২ . এছাড়া প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াতে শ্বেতসার ১০ গ্রাম ।
ভিটামিন – এ ১৯০ এমজি
ভিটামিন -বি ০.২৩ এমজি
ভিটামিন – বি২ ০.১৪ এমজি
নিয়াসিন ১.১ এমজি
ভিটামিন – সি ১৫ এমজি
ক্যালসিয়াম ১৩১ এমজি
ফাসফরাস ১৪২ এমজি
আয়রন ২ .২৫ এমজি
প্রোটিন(আমিষ) ৩১ এমজি
৩ . ওমেগা – ৩ ( Alpha Linoleic Acid ) আছে ।